৬৯০০ শতাংশ! সংখ্যাটি শুনলেই অবিশ্বাস্য মনে হয়। কিন্তু এটা বাস্তব! এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের উইকেটকিপার ধ্রুব জুরেলের পারিশ্রমিক ৬৯০০ শতাংশ বেড়েছে, যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বেতন বৃদ্ধির একটি নজির।
শুধু জুরেলই নয়, লঙ্কান পেসার মাতিশা পাতিরানার বেতনও বেড়েছে ৬৪০০ শতাংশ। এমন আরও কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন, যাঁদের বেতন গত মৌসুমে মাত্র ২০ লাখ রুপি ছিল, এবার তাঁদের বেতন কোটি কোটি রুপিতে পৌঁছেছে।
বেতন বৃদ্ধির তালিকায় জুরেল ও পাতিরানার পরেই আছেন বেঙ্গালুরুর রজত পাতিদার, যাঁর বেতন বেড়েছে ৫৪০০ শতাংশ। একই হার বেতন বেড়েছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের পেসার মায়াঙ্ক যাদবেরও। তরুণ ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শনের বেতন বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১৫০ শতাংশ। এছাড়া শশাঙ্ক সিংয়ের ২৬৫০ শতাংশ এবং রিংকু সিংয়ের ২২৬৪ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ঘটেছে।
গত মৌসুমে জুরেলের বেতন ছিল মাত্র ২০ লাখ রুপি, আর এবার রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ১৪ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছে। পাতিরানাও গত মৌসুমে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে ২০ লাখে ছিলেন, এবার তাঁকে ১৩ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছে চেন্নাই। বেঙ্গালুরু পাতিদারকে দিচ্ছে ১১ কোটি রুপি, যাঁর বেতনও ছিল গতবার ২০ লাখ।
মায়াঙ্ক যাদবের গল্পটি আরও চমকপ্রদ। গত মৌসুমেই প্রথমবার আইপিএল খেলেন তিনি এবং চোটের কারণে মাত্র ৪ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন, তবু তাঁর পারিশ্রমিক ২০ লাখ থেকে বেড়ে ১১ কোটি রুপি হয়েছে।
সাই সুদর্শন গুজরাট টাইটানসের হয়ে খেলেন। গত মৌসুমে তাঁর বেতন ছিল ২০ লাখ, আর এবার তিনি পাচ্ছেন ৮ কোটি ৫০ লাখ রুপি। পাঞ্জাব কিংসের শশাঙ্ক সিং এবার পাবেন ৫ কোটি ৫০ লাখ রুপি, যিনি গতবার ২০ লাখ রুপিতে খেলেছিলেন।
অন্যদের তুলনায় রিংকু সিং গত মৌসুমে একটু বেশি, ৫৫ লাখ রুপি পেতেন। এবার কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ১৩ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছে।
আইপিএলের পরবর্তী আসরের জন্য খেলোয়াড় ধরে রাখার শেষ তারিখ ছিল ৩১ অক্টোবর। প্রতিটি দল সর্বাধিক ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারলেও, মাত্র ২টি দল পুরো ছয়জন খেলোয়াড় ধরে রেখেছে। কিছু বড় তারকা খেলোয়াড়কেও দলগুলো ছেড়ে দিয়েছে, কিন্তু কোটি কোটি রুপি বিনিয়োগ করে এই তরুণ প্রতিভাদের ধরে রেখেছে।
0 Comments